অনলাইন ডেস্ক :: মেজর (অব:) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাদেরকে র্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওসি প্রদীপ ছাড়া বাকি দু’জন হলেন- টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৬ আগস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের সাত দিন রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।
তাদেরকে যে আজ রিমান্ডে নেয়া হবে সেটি গতকাল রাতেই জানিয়ে রেখেছিলেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে.কর্নেল আশিক বিল্লাহ। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের জলতরঙ্গ রিসোর্টে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ঘটনার মূল সাক্ষী শিপ্রা ও সিফাতের কম্পিউটার ডিভাইসসহ ২৯টি সামগ্রী কক্সবাজারের রামু থানায় পুলিশের হেফাজতে রক্ষিত আছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যম উক্ত সরঞ্জামাদি র্যাব হেফাজতে নেয়া হবে। কারণ, মামলা তদন্তের স্বার্থে ওই কম্পিউটার ডিভাইসগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন সিনহা। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি আর রামু থানায় একটি মামলা করে। এছাড়া সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সিনহার বোনের মামলার আসামিরা হলেন-টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক। বাকিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ ছাড়া পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় র্যাব।
পাঠকের মতামত: